বাবা যখন নরপিশাচ!
বাবা যখন
নরপিশাচ!

: পরম নিশ্চিন্তের আশ্রয় স্থল তো বাবা-ই। কিন্তু সেখানেও যদি বিশ্বাস ভেঙে খানখান হয়ে যায়, তাহলে? পিতাই যদি ভক্ষকের ভূমিকায় উপনীত হয়?
মাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে প্রায় ৬ বছর ধরে শিশু মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বাবার বিরুদ্ধে। ভারতের হরিয়ানার বল্লভগড় জেলার নরপিশাচ ওই বাবা।
মেয়েটি জানিয়েছে, ৬ বছর বয়স থেকে রাতে খাওয়ার পর তার মাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিতেন বাবা। মা ঘুমিয়ে গেলে বাবা তাকে পাশের ঘরে নিয়ে যেতেন। সেখানেই চলতো তার উপর অমানবিক অত্যাচার। এভাবে প্রায় ৬ বছর ধরে চলে নির্যাতন।
সেটি সহ্য না করতে পেরে মেয়েটি তার খালা ও মামাকে ঘটনা খুলে বলে। পরে খালা তার মাকে জানায়। সাংসারিক অশান্তির ভয়ে মাও তেমন মুখ খুলেননি। তাই নিজেকে নরপিশাচ বাবার হাত থেকে রক্ষা করতে শিশুটি আশ্রয় নেয় স্কুলের শিক্ষিকার কাছে। তারপর মেয়ে ও তার মাকে থানায় নিয়ে গিয়ে সেই নরপিশাচের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
ঘটনা টের পেয়ে পালিয়ে রয়েছেন অভিযুক্ত বাবা। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চলাচ্ছে।
আবিবের জেলা আদালতে। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।
মঙ্গলবার আদালতের রায়ে তার ৩০ বছরের কারাদণ্ড হয়।
গোয়েল রাটজনের বর্তমান বয়স এখন ৬৪ বছর। সংসার করেছেন ২১ নারীকে নিয়ে। হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি সন্তানের বাবা। কিন্তু তিনি বহুগামী।
বহুগামিতার কারণে তার লালসার শিকার হয় তার-ই মেয়েরা। স্ত্রীদের ওপর চালাতেন যৌন নিপীড়ন। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। যে কারণে পিশাচ প্রবৃত্তির এই ব্যক্তিকে ৩০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
স্ত্রী ও মেয়েরা তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ার পরও গোয়েল দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। এসব নারীরা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে তার সঙ্গে থাকতেন। এখন তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ প্রমাণ পেয়েছে, গোয়েল তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রীদের রাখতেন। কিন্তু তাদের ন্যূনতম জীবনচাহিদা মেটাতেন না তিনি। বরং ইচ্ছামতো শারীরিক ও যৌন নির্যাতন চালাতেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন